আমরা আজকে মহানবি (স.) এর কাছ থেকে শিখবো কিভাবে আমরা রাগ নিয়ন্ত্রণ করবো। ভিন্ন ভিন্ন ৪টি হাদিস থেকে আমরা জানার চেষ্টা করবো যে, কেও যখন এমন কোন আচরণ বা কাজ করতো যার কারণে যে কারও রেগে যাওয়া স্বাভাবিক। এরুপ পরিস্থিতিতে মহানবি (স.) কেমন আচরণ লরতেন এবং স পরিস্থিতি মহানবি (স.) নিয়ন্ত্রণ করতেন।
যেন আমাদের জীবনে রাগের বিভিন্ন পরিস্থিতি আসলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে শেখা পদ্ধতি প্রয়োগ ঘটিয়ে আমরা নিজেদের রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি।
যেভাবে ইসলামিক উপায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন
ছেলের সাথে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন।
প্রথম হাদীসটি শুরু করা যাক, সাহাবী আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ঘটনা দিয়ে।
আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর মাতাকে খুব ছোট বয়সেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমত করার জন্য সমর্পন করেছিলেন। তেমনই এক সময়ের ঘটনা। আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর সাত কিংবা আট বছরের ছোট্ট একটি বালক। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছোটখাটো কাজ গুলো ঠিক করে দিতেন, তবে যতটা না কাজ করতেন তার চেয়ে দুষ্টুমি করতে বেশি।
একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে একটি কাজে বাইরে পাঠালেন। যাওয়ার পথে আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর দেখলেন, কিছু ছেলে একসাথে খেলা করছে। তাদেরকে দেখে ছোট্ট আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেয়া কাজের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে খেলায় মুঝে গেলেন। খেলার ঘরে যে কতটা সময় কেটে গেছে সে ব্যাপারে আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা
আনহুর কোন খেয়ালই নেই। তিনি মনের খুশিতে খেলায় মগ্ন, এমন সময় হঠাৎ করে তিনি খেয়াল করলেন, বিশাল সাইজের কোন এক খেলোয়াড় পেছন থেকে তার ঘাড়ে চেপে ধরেছে। ছোট্ট আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সেই খেলোয়াড়কে দেখার উদ্দেশ্যে মাথা ঘুরালেন। কিন্ত একি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাসি নিয়ে উপস্থিত। [মুসলিম ২৩১০]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই কোনো জরুরি কাজের জন্য আনাস (র) কে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও যখন আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ফিরলেন না, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তিনি আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর উপর রাগ করলেন না বরং তিনি রসিকতা করলেন। তিনি ছোট্ট বাচ্চাটিকে কাজ বাদ দিয়ে খেলা রত অবস্থায় দেখে, তার মনের ভাব বুঝে সেটিকে প্রাধান্য দিলেন এবং তার কাছে গিয়ে মজা করলেন।
তিনি ঘটনাটি রাগের অংশটিকে ইগনোর করে মজার অংশটি কে প্রাধান্য দিলেন। সুতরাং এই হাদিসটির মাধ্যমে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে রাগ নিয়ন্ত্রণের যে কৌশল শিখলাম তা হলো, রাগকে হিউমার দিয়ে পরিবর্তন করে ফেলা, রাগ নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের সাথে যখন রেগে যাওয়ার মত কিছু ঘটে, আমাদের উচিত হবে ঘটনাটির রাগের অংশটি কে উপেক্ষা করে হিউমেরাস অংশটির দিকে মনোযোগ দেয়া।
স্ত্রীর সাথে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন।
আরেকবার এর ঘটনা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীদের মধ্যে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহার রান্নায় খুব একটা পারদর্শী ছিলেন না। রান্নার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন সফিয়াহ (র) ও উম্মু সালামাহ (র)।
একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সাহাবীদের কে নিয়ে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ঘরে বসে আলাপ করছিলেন, তখন উম্মু সালামাহ (র) নিজের রান্না করা খাবার দিয়ে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহার ঘরে একটি বাটি পাঠালেন। এতে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহার ভীষণ মন খারাপ করলেন! ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে, আমার রান্না কি এতই খারাপ জন্য ঘর থেকে খাবার আনতে হবে।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহার রেগে গিয়ে এক আছাড় এ খাবারের প্লেট টা ভেঙে ফেললেন। একবার ভেবে দেখুন তো, আপনার স্ত্রী যদি অতিথিদের সামনে এমন আচরণ করে বসে তাহলে আপনি কি করবেন? একটু হলেও হয়তো উফ বলে উঠবেন। এটা তুমি কি করলে? অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই রকম কিছুই বলেন না। এমনকি কোনরকম বিরক্ত প্রকাশ করলেন না। বরং ভেঙে যাওয়া প্লেটের টুকরোগুলো কুড়াতে কুড়াতে তিনি সাহাবীদের কে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমরা তোমাদের খাবার খেয়ে নাও।
অতঃপর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহার পক্ষ নিয়ে কথা বললেন, তোমাদের মা কিছুটা মনোক্ষুন্ন হয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথাটি এমনভাবে বললেন যেন এটা তো কোন ব্যাপারই না। শুধু এতোটুকুই না বরং একই সাথে তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহার মর্যাদার কথা সাহাবীদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাইলেন। তাই তিনি সাহাবীদের সামনে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা কে নাম ধরে না ডেকে তোমাদের মা বলে সম্বোধন করেছেন। [সুনান আন- নাসাঈ ৩৯৭৩]
এ ঘটনা থেকে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে শিখতে পারলাম, কেউ রেগে গিয়ে অপ্রত্যাশিত আচরন করে বসলে আমরা তার প্রতি পাল্টা রাগ করবো না। বরং অন্যদের সামনে আমরা তাকে প্রটেক্ট করব। পরবর্তীতে তার রাগ কমে গেলে, তাকে একান্ত আপন করে নিয়ে ঘটে যাওয়া বিষয়ে পর্যালোচনা তুলে ধরে শুধরে নিব।
অপরিচিত লোকের সাথে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন।
আরেকবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন এক মহিলা কবরের সামনে ভীষণ কান্নাকাটি করছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন আল্লাহকে ভয় করো এবং ধৈর্যধরো । মহিলাটির রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিনতে না পেরে রেগে গিয়ে বলে উঠলো চলে যান এখান থেকে! আমার মত বিপদ তো আর আপনার হয়নি!
আমার আপনার সাথে কেউ যদি এমন আচরণ করত তখন আমরা কি করতাম? আর কিছু না করলেও অন্তত আমাদের এতটা ভালো আচরণের বিপরীতে তার খারাপ আচরণের জন্য পাল্টা জবাব তো অবশ্যই দিতাম। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করলেন না। তিনি সেই মহিলার এই আচরণ দেখে পাল্টা রেগে গেলেন না। কিংবা তাকে বললেন না যে আমি হলাম আল্লাহর রাসুল।
আর আমার কথার উপর কথা কিংবা তিনি এমনটিও বললেন না আমি তোমাকে ভালো কথা বললাম আর তুমি কিনা আমার সাথে এমন ব্যবহার করলে! না, তিনি এরকম কিছুই করলেন না। বরং তিনি কিছু না বলে চুপচাপ সেই স্থান থেকে চলে গেলেন। [বুখারী ১২২৩]
কেননা তিনি বুঝেছিলেন মহিলাটি এই মুহূর্তে অধিক শোকে জর্জরিত এবং একই সাথে সে অতিমাত্রায় রেগে আছে। এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পর্যন্ত চিনতে পারেনি। এই অবস্থায় তাকে বোঝাতে গেলেও হয়তো সে বোঝবেনা কিন্তু সে শান্ত হওয়ার পর যদি তাকে এ ব্যাপারে বোঝানো হয়, তবে নিশ্চয়ই সে বুঝবে। এই কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আর কিছু না বলে চুপচাপ সেখান থেকে চলে গেলেন।
আমরাও কখনো এরকম রেগে থাকা ব্যক্তিকে বোঝাতে কিংবা উপদেশ দিতে যাব না। কেননা একেতো সে বুঝতে চাইবেন না, উলটো সে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমন আচরণ করে বসবে। কিংবা এমন কথা বলে ফেলবে, যা শুনে আমরাও রেগে গিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারি রাগ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টে পারি । সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষার্থীর প্রয়োগ করব। এবং সেই লেগে থাকে ব্যক্তির রাগ নিয়ন্ত্রণ এবং তাকে শান্ত হওয়ার সময় দিব।
এই একটি হাদিসেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথেষ্ট
যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোনো অবস্থাতে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি হাদিস যথেষ্ট। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি তর্ক করা ছেড়ে দিবে, সে যদি ভুলের এর পক্ষেও হয় তবুও সে জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ি পাবে। আর যে ব্যক্তি সঠিক হওয়া সত্ত্বেও তর্ক ছেড়ে দেবে, সে জান্নাতের মাঝখানে একটি বাড়ি পাবে। আর যে ব্যক্তি নিজের চরিত্রের উন্নয়ন করবে সে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে বাড়ি পাবে। [তিরমিযী]
আমরা নিজেরাই ভেবে দেখি কি লাভ আরেক জনের সাথে তর্কাতর্কি করে, রাগারাগি করে, নিজেদের মন মেজাজ খারাপ করে, যুক্তির উপর্যুক্ত তৈরি করে শুধু এটাই প্রমাণ করায় যে আমি সঠিক, তুমি ভুল?
এর মাধ্যমে না নিজের মনে শান্তি পাওয়া যায়, আর না অন্যের মন জয় করা যায়। তার চেয়ে বরং চুপ থেকে অন্যের ভুল উপেক্ষা করার মাধ্যমে জান্নাতে নিজের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করা কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়? এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে শিখিয়েছেন, রাগ করার মতো কারণ থাকা সত্ত্বেও তা ছেড়ে দিতে এবং একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার কাছে এ ব্যাপারে প্রতিদানের আশা রাখতে।
এক মুহূর্তের রায় সারা জীবনের কান্নার কারণ হয়ে যেতে পারে। যদি রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে রাগের মাথায় আমরা এমন কিছু করে বসতে পারি বা এমন কিছু বলেপেলতে পারি যার জন্য আজীবন অনুশোচনা করলেও হয়তো তারা শোধরানো সম্ভব হবে না। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা নিঃসন্দেহে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিল। যা প্রতিটি মানুষের আয়ত্ত করে নেয়া অত্যন্ত জরুরী। সূরা আল-ইমরানে আল্লাহ তায়ালা যে সব বান্দাদেরকে ভালবাসেন, তাদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে রাগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
ইসলামী ব্যক্তিগত কারনে রাগ করার অনুমতি নেই। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করুণা, একে অপরের প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ো না ,একে অপরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়না, এবং একে অপরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, তোমার ভাই ভাই হয়ে যাও, কোন মুসলিমের জন্য এটি বৈধ নয় যে, সে তার অপর মুসলিম ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বলা বন্ধ রাখবে। [সহীহ বোখারী ৬০৫৬, ৬০৭৬; মুসলিম ২৫৫৯; তিরমিযী ১৯৩৫]
এই বিধানটি ব্যক্তিগত কারনে রাগ করার ব্যাপারে। কিন্তু যেসব কারণে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগ করেছেন, সেসব ব্যাপারে অবশ্যই রাগ করতে হবে এবং শরীয়তের পন্থা মেনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থাৎ কেউ যদি আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবাধ্য হয়, তাদের অমান্য করে, শির্কে লিপ্ত হয়, সালাত ত্যাগ করে, কিংবা শরীয়তের অন্যান্য বিধান লংঘন করে তবে তার ব্যাপারে রাগ করে পুরোপুরি বৈধ। কিন্তু এ রাগের বহিঃপ্রকাশ হতে হবে নিয়ন্ত্রিত ও শরীয়ত সম্মত।
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে ব্যক্তিগত কোনো কারণে আসা রাগ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি শিখলাম। তা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো ইনশাআল্লাহ। যেন আমরাও সেই সৌভাগ্যবান বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারি যাদের
রাগ নিয়ন্ত্রণ করার উপায়