তাকওয়া অবলম্বনের সুসংবাদ: আল্লাহ তাআলা আছেন এবং তিনি আমাদের সব কাজ দেখছেন সব কথা শুনেছেন এবং সব চিন্তা বুঝতে পারছেন। এই ব্যাপারে যারা সদা সতর্ক থাকে এবং তার ভয়ে নিজেদের কথা চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করে তারাই হচ্ছে মুত্তাকী অর্থাৎ তাকওয়াবান। শুধুমাত্র তাদেরকে আল্লাহ তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন চূড়ান্ত সফলতার।
কেন তাকওয়া এত গুরুত্বপূর্ণ ?
নিঃসন্দেহে আল্লাহর প্রতি সদা সতর্কদের জন্যই রয়েছে চূড়ান্ত সফলতা। (সূরা অন -নাবা, আয়াত ৩১)
শুধু নামাজ, রোজা হজ করলেই কি যথেষ্ট নয়? তাকওয়া নেই এমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি বাসায় এসে পরিবারের সাথে, কাজের লোকের সাথে, এমনকি নিজের সন্তানের সাথে দানবের মতো আচরণ করে। তাকওয়া নেই এমন হাজী ঘোষ খেয়ে হজ্ব এ যায় এবং হজ্ব থেকে ফিরে এসে আবার ঘুষ খায়। তাকওয়া নেই এমন দাড়িওয়ালা পণ্যে ভেজাল দেয়, কমদামি মাল বেশি দামি বলে চালিয়ে দেয়, কাগজপত্রে মিথ্যা কথা লিখে, অন্যায় ভাবে সুবিধা নেয়, অফিসে লুকিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করে, নামাজ পড়ে বের হয়ে দেরি করে অফিসে আসে ইত্যাদি।
ধর্মীয় বেশভূষা ধারি তাকওয়াহীন এই মানুষগুলোর স্বভাব এবং কাজের জন্য ইসলামের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়, কারণ তাদেরকে দেখে অন্যরা মনে করে যে এটাই হচ্ছে ইসলাম ধর্মের শিক্ষা। ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি তারাই করে।
তাকওয়া হচ্ছে সব সময় সতর্ক থাকা যে, একজন প্রচন্ড ক্ষমতাধর সত্যটা সব সময় আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। একই সাথে তিনি দুজন অদৃশ্য সত্তাকে আদেশ করেছেন প্রতি মুহূর্তে আমাদের গতিবিধি নজর রাখার জন্য। এই পুরো মহাবিশ্ব তার হাতের মুঠোয়। আমরা যদি ভাবি আল্লাহতায়ালাকে এক মুহূর্তের জন্যও ফাঁকি দিতে পারব তাহলে আমরা ভুল করছি। কারণ এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এই উপলব্ধি থেকে আমরা যারা নিজেদেরকে দুনিয়ার প্রলোভন থেকে বাঁচিয়ে চলতে পারি এবং লোকে কি বলবে ভয় না পেয়ে বরং আমার প্রভু কি বলবেন এটা কে বেশি ভয় পাই, আমাদের মধ্যে তারাই মূলত তাকওয়া বা এবং মুত্তাকী। আমাদের মধ্যে কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত উপলব্ধি করছে না যে, একদিন তাকে আল্লাহতালার সামনে দাঁড়িয়ে সব কাজের জবাব দিতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে ধর্ম শিখিয়ে বেশি লাভ হবে না। ধর্ম তার কাছে শুধুই কিছু তথ্য কথা হয়ে থাকবে। ধর্মীয় নিয়ম কারণ গুলো মানার জন্য সে কোন আগ্রহ খুঁজে পাবে না।
যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য মানুষ তাকে দেখতে পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকবে। তারপর একা হলেই তার আসল চেহারা বের হয়ে আসবে। দেশের আইনকানুন তাকে হয়তো সমাজে ঘরের বাইরে অন্যায় করা থেকে দূরে রাখতে পারবে কিন্তু কোনো নির্জন রাস্তায় অন্ধকার পার্কে নিজের ঘরের ভেতর নিজের পরিবারের সাথে কিংবা নিজের স্বার্থের জন্য কাজ করা থেকে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না। এর জন্য একমাত্র সমাধান হচ্ছে তাকওয়া এবং বিশেষ করে কেয়ামতের বিচারের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস।
তাকওয়া অবলম্বনের জন্য সুসংবাদ আছে কোরআনে
যারা আল্লাহ তাদের প্রতি সাবধান থেকে নিজেদেরকে পাপ থেকে দূরে রাখবে এবং তার আনুগত্য করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। তাদের জন্যই রয়েছে সপলতা।
“বাগানের পর বাগান, আঙুরের সমাহার, আকর্ষণীয় মানানসই জুটি,উপচে পড়া পানপাত্র।” (সূরা অন -নাবা, আয়াত ৩২-৩৪)
জান্নাতে থাকবে হাডাইক অর্থাৎ একাধিক ব্যক্তিগত বাগান। যেখানে চারদিকে সারি সারি খেজুর গাছের মনোহর, সীমানার ভিতরে ঢুকে মিষ্টি আঙুর বাগানের পাশাপাশি অপূর্ব ফুলের সমাহার থাকবে। এরকম একটা দুটো নয়, অগণিত ব্যক্তিগত বাগানের মালিক হবে প্রতিটি জান্নাতি। সেই বাগানগুলো রকমারি ফলের সমাহার দিয়ে পরিপূর্ণ থাকবে।
রিসেন্ট লাইভ খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল
এমন সুস্বাদু ফল যার স্বাদ আমরা এখন কল্পনা করতে পারব না, সেখানে থাকবে না ফরমালিন এবং কার্বাইডের দুশ্চিন্তা, থাকবে না কোন ভেজাল খাবার, নিশ্চিন্তে যত ইচ্ছা তোতো খাওয়া যাবে, অসুস্থ হওয়ার ভয় থাকবেনা, জান্নাতিরা নরম গালিচায় বসে আইস করে বালিশে হেলান দিয়ে হালকা রোদে, গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেবে। সামনে তাকিয়ে উপভোগ করবে আল্লাহ তাআলার নিজের পরিকল্পনায় তৈরি করা বিশাল বাগানের নতুন নতুন সৌন্দর্য।
যতদূর চোখ যায় অকল্পনীয় সুন্দর সব দৃশ্য যখন মন চাইবে বসে বসে দেখবে অন্ধকার হয়ে যাওয়ার তাড়া নেই, রান্না করার টাকা নেই, কাজে যাওয়ার চিন্তা নেই বা পরীক্ষার কোন ভয় নেই, শুধুই অফুরন্ত অবসর একইসাথে সামনে সারি সারি দামি পাথর রাখা থাকবে, অমৃতসুধা সেখান থেকে একটার পর একটা পাথর নিয়ে চুমুক দেবে, আর তীব্র আনন্দে হারিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। যত ইচ্ছা করবে কোন নিষেধ নেই, বাথরুমে যাওয়ার দরকার নেই।
তাকওয়া বান বেক্তির জান্নাতের সঙ্গীরা কেমন হবে
জান্নাতে এত এত আনন্দ আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে, কারণ তার পাশে বসে থাকবে আকর্ষণীয় মানানসই জীবনসঙ্গী।
কিছু অনুবাদ এবং তাফসীরে “কাওয়াইবা আতরাবার” কথা উল্লেখ রয়েছে। যার অর্থ সমবয়স্কা নবযৌবনা যুবতীরা, যাদের হুর বলা হয়, যারা পুরুষদের জন্য বড়ই আকর্ষণীয়। এসব জেনে নারীদের মন খারাপ করার কোন দরকার নেই কারণ “কাওয়াইবা আতরাবা” অন্যান্য অর্থ হল আকর্ষণীয় মানানসই জুটি, সমবয়স্ক সঙ্গী, গৌরবোজ্জ্বল সঙ্গী ইত্যাদি। যে ধরণের সঙ্গী হলে তার সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হবে এবং তাদের সঙ্গ সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা যাবে, একদম সেরকম মনের মতো সঙ্গী।
জান্নাতের সঙ্গী হবে সমবয়স্ক তরুণ-তরুণী। কারণ সমবয়স্ক সঙ্গীর সাথে একান্তে থাকা যায়, মনের কথা খুলে বলা যায়, আনন্দের অভিজ্ঞতাগুলো নিঃসংকোচে উপভোগ করা যায়। কিন্তু বয়সের পার্থক্য হলে সংগঠিক পুরোপুরি উপভোগ করা যায় না। যেমন একজন তরুণ যদি তার বৃদ্ধি সঙ্গী পায় অথবা একজন তরুণী যদি তার বৃদ্ধ স্বামীকে পায় তাহলেতো আফসোস থেকে যাবে।
চিন্তা করার মত ব্যাপার রয়েছে, কেন আল্লাহ তাআলার জান্নাতে সংগীতের ব্যাপারে এত গুরুত্ব দিয়েছেন। কুরআনে তিনি কয়েকবার জান্নাতের সংগীতের কথা বিশেষভাবে বলেছেন। নিশ্চয়ই সঙ্গী একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, তা না হলে আল্লাহতালার জান্নাতের অসংখ্য সুখের মধ্য থেকে সঙ্গীকে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করতেন না।
আল্লাহতালা মানুষকে এমন ভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, একটি বয়সের পর থেকে তার মনের মধ্যে একজন সঙ্গীর জন্য একধরনের মানসিক শূন্যতা তৈরি হয়। যেটা অন্য কিছু দিয়ে পূরণ করা যায়না। প্রথম মানুষ আদম আঃ এর মধ্যে এই শূন্যতা ছিল। তিনি জান্নাতের মতো অনন্ত সুখের জায়গায় থেকেও একাকীত্ব বোধ করতেন। তাঁর এই শূন্যতা দূর করার জন্য আল্লাহ তাআলা তাকে একজন সঙ্গিনী দিয়েছিলেন।
আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছে, সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক তাদের প্রত্যেকের মনের ভিতরে একটা বয়সের পর থেকে একজন সঙ্গীর জন্য একধরনের সুন্নত কাজ করে। এই বৈশিষ্ট্যটি আল্লাহতালা মানুষের মাঝে দিয়ে দিয়েছেন। শূন্যতা পূরণ করার জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হালাল উপায়ে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু অনেকে সেই হালাল উপায়ে বেছে নেয়া নিয়ে, অনেক সময় বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন সমাজের চাপে পড়ে, অনেক বয়স পর্যন্ত বিয়ে না করে, বিভিন্ন ধরনের হারাম উপায় সেই শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করে।
অনেকে সেটা করে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের মাধ্যমে, অনেকে করে সারাদিন রোমান্টিক মুভি হিন্দি গানে থেকে, আবার অনেকে করে সারাদিন ফেসবুকে একটিভ থেকে, এবং বন্ধুদের কাছ থেকে মোবাইলে নোংরা ভিডিও এনে এগুলোর কোনটাই মানুষের মনের ভেতরে শূন্যতাকে পূরণ করতে পারেনা।
তাদের মধ্যে একধরনের মানসিক বিকৃতি তৈরি করে, এরপর তারা আর স্বাভাবিক মানুষের মতো পরিষ্কার মনের সুস্থ চিন্তা করতে পারে না। ফলে তাদের বিবাহিত জীবনকে হতাশায় আশাভঙ্গের পরান।
তাকওয়া অবলম্বনের জন্য সুসংবাদ আছে কোরআনে
“সেখানে তারা কোন ধরনের ফালতু কথা বা মিথ্যা কথা শুনবে না”।(সূরা অন -নাবা, আয়াত ৩৫)
জান্নাতে কেউ বাজে কথা বলবে না, দুনিয়াতে থাকতে মানুষ একে অন্যের নামে বদনাম কুটনামি করতো, খেলা, রাজনীতি, তারকাদের ফালতু খবর নিয়ে দিনরাত মাসুদুল থাকতো। জগড়াবিবাদ,গলাবাজি, অন্যের কাছে নিজেকে বড় বলে জাহির করার, অসুস্থ প্রতিযোগিতা ব্যস্ত থাকত। এগুলো ছিল নিজের এবং অন্যের মানসিক অশান্তির অন্যতম কারণ। জান্নাতে এগুলোর কিছুই থাকবে না।
হাজার হোক জান্নাতবাসীরা হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ডের মানুষ। তারা দুনিয়াতে থাকতেই অনর্থক কথা, অশান্তির কথা বলতো না, জান্নাতে তো কখনোই বলবে না। এই একটি জিনিস না থাকার কারণেই জান্নাতবাসীদের শান্তি বহুগুণে বেড়ে যাবে।
সূরা আন-নাবা 35 নম্বর আয়াত থেকে আমরা একটি উপদেশ পাই, আর সেটা হলো বাজে কথা থেকে দূরে থাকলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আমরা যদি দুনিয়াতে বাজে কথা থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি। তাহলে আমরা দুনিয়াতে অনেক বেশি মানসিক শান্তিতে থাকবো। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে আমরা যেমন নিজেকে এবং অন্যকে মানসিক শান্তি দেব। ঠিক একই ভাবে বাজে কথা, অনর্থক কথা বলে বেড়ায় এমন মানুষদের থেকে বুদ্ধি খাটিয়ে নিজেকে দূরে রেখে নিজেদেরই মানসিক শান্তির ব্যবস্থা করতে পারব।
তাকওয়া অবলম্বনের জন্য সুসংবাদ আছে কোরআনে
“তোমার রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার, এক যথার্থ উপহার”। (সূরা অন -নাবা, আয়াত ৩৬)
আমাদের কোনো বিশেষ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী যখন নিজে আমাদেরকে পুরস্কার দেবেন বলে আমন্ত্রণ জানান, তখন আমাদের খুশির দেখে কে? আমাদের নিকট আত্মীয়রা গর্ব করে বলে বেড়ায় ওকে প্রধানমন্ত্রী নিজে পুরস্কার দেওয়ার জন্য ডেকেছেন। আমাদের চৌদ্দগুষ্টি থেকেও কেউ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার পায়নি। কত বড় সম্মান আমাদের!
আর সূরা আন-নাবা 36 নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন যে, তাকওয়াবান দের পুরস্কার আসবে তার কাছ থেকে। কেয়ামতের দিন তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা নিজে সেই পুরস্কার দিবেন। বিশ্বজগতের প্রতিপালক নিজে এসে পুরস্কার দেওয়া বিরাট ব্যাপার হতে পারে। সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারবোনা। কেয়ামতের দিন এই সৌভাগ্যবান মানুষ গুলোর কোন ভয় থাকবে না। অন্যদিকে যারা পুরস্কার পাবে না, তারা সবাই ভয়ে আতঙ্কে থরথর করে কাঁপতে থাকবে।
তাকওয়া অবলম্বনের জন্য সুসংবাদ আছে কোরআনে
“তার পক্ষ থেকে, যিনি আকাশ গুলো এবং পৃথিবী সহ এদের মধ্যে যা কিছু আছে, তার সবকিছুর প্রতিপালক; অত্যন্ত দয়ালু তিনি। কারও কোন ক্ষমতাই থাকবে না তার সামনে কিছু বলার”। (সূরা অন -নাবা, আয়াত ৩৭-৩৮)
“সেদিন রুহ এবং ফেরেশতারা সারি সারি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। পরম দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া কেউ কোন কথাই বলতে পারবে না এবং শুধুই সঠিক কথা বলবে”। (সূরা অন -নাবা, আয়াত ৩৭-৩৮)
এবার দৃশ্যপট ফিরে গেল কেয়ামতের দিনে। এক ভিন্ন জগতের মানুষ আবার জন্ম নিয়েছে। দাঁড়িয়ে আছে, এক বিশাল সমতল ভূমিতে। মাথার উপরের আকাশকে এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত চিরে ফাক করা হয়েছে। তার ভেতর দিয়ে উপরের জগৎ থেকে অতি উন্নত সত্যায়ন উড়ে এসে সারি সারি হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে বিরাট একটা কিছু ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এক শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর এক বিশাল আকৃতির একজনের আবির্ভাব হলো পুরো দিগন্তজুড়ে। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি সেই অতিজাগতিক বাহিনীর প্রধান। তিনি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন, পুরো বাহিনী নিঃশব্দে অপেক্ষা করছে, সবাই অপেক্ষা করছে আকাশের উপরে অদৃশ্য যিনি আছেন, সেই সর্বপ্রধান সর্বশক্তিমানের নির্দেশের, তার নির্দেশ পাওয়া মাত্র শুরু হয়ে যাবে শেষে আদালত। নিচে অজস্র মানুষ উৎকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছে কখন সেই আদালতে তার ডাক পড়বে।
দুনিয়াতে যারা ভাবে এগুলো সব গালগল্প কিভাবে মানুষ এইসব গাঁজাখুরি কাহিনী বিশ্বাস করে। তাদের জন্য সূরা আন-নাবা 39 থেকে 40 নম্বর আয়াতের সাবধান বাণী রয়েছে। আল্লাহতালা বলেছেন, সেদিন অনিবার্য। তাই যে চায়, সে তার রবের কাছে আশ্রয় খুজে নেক।
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সাবধান করে দিলাম, যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি দেখবে সে কি করে এসেছে। আর অস্বীকারকারী বিলাপ করবে “হায় আমি যদি ধুলোয় মিশে যেতাম!”